নান্দাইলে চাল কম দেয়ার ঘটনায় পুনঃতদন্তের দাবি 

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের ডিলার মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের চাল ওজনে কম দেওয়ার ঘটনায় নিরপেক্ষ কর্মকর্তাকে দিয়ে পুনঃরায় তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন কার্ডধারীরা। সোমবার (১৭ জুলাই) উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর ছিলার বাজারে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোরাদ হোসেন ভূঁইয়া জানান, স্থানীয় রসুলপুর ছিলার বাজারে (মুক্তবাজার) সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিয়োজিত ডিলার মোজাম্মেল হক বাচ্চু। তিনি নান্দাইল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ওই বাজারে তাঁর চাল বিক্রির দোকান রয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল ডিলার মোজাম্মেল হক কার্ডধারী গ্রাহকদের কাছে চাল বিক্রির সময় ৩০ কেজির স্থলে ২৭ থেকে ২৮ কেজি করে চাল বিক্রি করছিলেন। ওজনে কম দেওয়ার প্রতিবাদ জানালে ডিলার ও তাঁর লোকজন রসুলপুর গ্রামের মোরাদ হোসেন ভূঁইয়াকে মারধর করে আহত করেন। পরে তিনি সুস্থ হয়ে চাল কম দেওয়া ও তাঁকে মারধর করার ঘটনায় ১৭ এপ্রিল নান্দাইলের ইউএনওর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। 

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে মোরাদ ২৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, গত ২ মে নান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি চাল কম পাওয়া কার্ডধারীদের নিয়ে গেলেও কমিটির সদস্যরা তাঁদের বক্তব্য গ্রহণ না করে অভিযুক্ত চাল বিতরণের ডিলারকে অভিযাগ থেকে রেহাই দেন।

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১২ জন কার্ডধারী নারী-পুরুষ, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ এবং ওই এলাকার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 

উপস্থিত কার্ডধারীরা জানান, আমাদের মতো গরিবদের প্রতিনিয়ত ঠকানো হচ্ছে। অথচ প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিরীহ তরুণকে মারধর করা হয়েছে। চাল কম দেওয়ার এ ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানানো হয়।