পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দালাল মুক্ত করতে এবার কঠোর হয়েছেন চিকিৎসক ও হাসপাতালের প্রশাসন বিভাগ।
সপ্তাহে দুদিন নির্ধারিত সময় ছাড়া হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ঘোরাঘুরি ও হাসপাতালের ভেতরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সসহ প্রাইভেট কার রেখে পরিবেশ নষ্ট না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়ে নোটিশ লাগানো হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি পরিদর্শন, ক্লিনিকের দালালদের অবস্থা ও যানবাহন রাখা বন্ধ না করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এফ এ আসমা খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঈশ্বরদীর কয়েকটি ক্লিনিকের নিয়োগকরা দালাল দিনভর হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করে। গ্রাম থেকে কোনো রোগী হাসপাতালে এলেই এসব দালালরা রোগীর অভিভাবকদের অন্য ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এতে টাকা খরচ হলেও সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
আবার ক্লিনিকে রেখে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সেই রোগীকেই পুনরায় হাসপাতালে ফেরত পাঠায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, 'হাসপাতালকে দালালমুক্ত, ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত দিনের সময় ছাড়া হাসপাতালে আসা রোধ করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে হাসপাতালের অভ্যন্তরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স, প্রাইভেট কার রাখা হয়। এজন্য রোগী নিয়ে আসা গাড়িগুলোর খুবই সমস্যা হয়। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশ ফেরাতে এসব পদকক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এফ এ আসমা খান বলেন, 'নোটিশ দিয়েও দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করা যাচ্ছিল না। রোববার এক দালালকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনার পর থেকে দালালদের দেখা যাচ্ছে না। ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধি ও গাড়ির ক্ষেত্রেও সতর্কতা দেখা যাচ্ছে। তবে ভালো কাজ করতে গিয়ে এক দালালকে বের করে দেওয়ার ঘটনাটিকে একটি চক্র ভিন্নখাতে নেওয়া চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন এই চিকিৎসক।'
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তায় সামনের দিনগুলোতে আরো দায়িত্বশীল হয়ে পুরো টিম নিয়ে কাজ করে যাবেন। এতে হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
