পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম জটিল বারসাইটিস অপারেশন সফল 

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৩:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রথম ভাটিখাইন ইউনিয়নের কাজী ফরিদুল আলম (৬০) এর জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) অপারেশন সফল হয়েছে। 

বুধবার হাসপাতালে সার্জারি ও অর্থোপেডিক্স সার্জারি ডাক্তার‍দের যৌথভাবে এই অপারেশন চলাকালীন সাথে ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. সুরজিত ঘোষ,  জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স সার্জারি), ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া) ডা. সৌমেন বড়ুয়া, সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. সামিয়া আয়েশা ফারজানা ও সিস্টার ইনচার্জ শামীমা আক্তার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ, ডা. কাজী ফারহানা নূর, ডা. আল মামুন হামিদ।

জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া) ডা. সৌমেন বড়ুয়া জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয় । এরপর ভাটিখাইন নিবাসী কাজী ফরিদুল আলম (৬০ বৎসর) এর জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) রোগের জন্য অপারেশন করা হয়। এটি পটিয়াবাসী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের  মানুষের জন্য একটি নতুন মাইলফলক। এখন থেকে পটিয়া হাসপাতালে এ ধরনের জটিল অপারেশন করা সম্ভব। এই অপারেশন বেসরকারি কোন হাসপাতালে করতে খরচ পড়বে প্রায় ৪০ হাজার। আর এই অপারেশনে সরকারি হাসপাতালে রোগীর পরিবারের খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন থেকে নিয়মিত এ ধরনের মেজর অপারেশন করা হবে। 

ভাটিখাইন ইউপির জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) কাজী ফরিদুল আলম পরিবার সূত্রে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদুল আলম জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) রোগে ভুগছেন। তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা খরচে এই জটিল রোগের অপারেশন করেন। বতর্মানে রোগী সুস্থ আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সব্যসাচী নাথ জানান, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক আন্তরিকতার সহিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আজ এই প্রথম হাসপাতালে জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) রোগী  ফরিদুল আলম এর অপারেশন সফল করেছে। রোগী সুস্থ রয়েছে। এ অপারেশনে সাথে সশ্লিষ্ট সকল সার্জারি এবং অর্থোপেডিক্স সার্জারিকে ধন্যবাদ জানান।