ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারে ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারে বসতবাড়িতে ঢুকে ডাকাতিসহ হত্যা মামলার ৮ আসামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোশাররফ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো ২ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। আনোয়ার হোসেন নামে অপর এক আসামীকে ডাকাতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১০ আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকুসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শওকত বেলাল তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, কক্সবাজার শহরের টেকনাইফ্যা পাহাড় এলাকার মো. হাছানের ছেলে মঞ্জুর হোসেন, মৃত মো. কাছিম প্রকাশ কালাজুরীর ছেলে মো. আলম, পাহাড়তলী এলাকার মো. সৈয়দের ছেলে শহর মুলুক প্রকাশ কালু, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার এখলাছ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কালুইন্যা, ভোলা চরফ্যাশন থানার নুরাবদ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন। তারা বর্তমানে কক্সবাজার শহরের উত্তর রুমালিয়ারছড়ায় বসবাস করেন। পাহাড়তলী এলাকার আব্দু শুক্করের ছেলে মোস্তাক, টেকনাইফ্যা পাহাড় এলাকার আমির হোছনের ছেলে আক্তার কামাল এবং সিটি কলেজ এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে আমির হোছন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- ওয়াহিদ মুরাদ, দিদারুল আলম প্র. দিদার, আবুল কালাম বরমাইয়া, আমিন, নুর মোহাম্মদ, রিয়াদ প্রকাশ দেলোয়ার প্রকাশ দুধুইয়া, শফিক প্রকাশ শফিক্কা, বকতিয়ার, আবদুর রহিম ও শফি।

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা কাটগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।

জানা যায়, ২০০০ সালের ১৫ জুন রাতে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমলিয়ারছাড়র বাচামিয়ার ঘোনা এলাকায় একদল ডাকাত বাড়ির দরজা ভেঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মো: হোসনের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে গুলি করে খুন করে। এ সময় ডাকাত দল বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছবুরা খাতুন বাদী হয়ে মঞ্জুর আলমকে একমাত্র আসামী করে কক্সবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো ১৮/২০ জনকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৬ সালে ২৫ এপ্রিল মামলার চার্জ গঠন করে মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। বৃহস্পতিবার ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ বিচার।

এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ্টি প্রকাশ করলেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।

কক্সবাজার,ডাকাতি,হত্যা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত