ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সম্পত্তি নিজের নামে লিখে না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে পিটিয়ে আহত করলেন ছেলে

সম্পত্তি নিজের নামে লিখে না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে পিটিয়ে আহত করলেন ছেলে

পৈতৃক সম্পত্তি নিজের নামে লিখে না দেয়ায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে পিটিয়ে আহত করেছে তাঁর সন্তান। এব্যাপারে গত বুধবার ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্তানের বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জার আলী।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সোনাহাট বানুরকুটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জার আলী দফাদার এর বড় ছেলে চার মাস আগে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মারা যায়। এর পর থেকেই তার ছোট ছেলে আব্দুস সাত্তার পিতার সমস্ত জমি নিজ নামে লিখে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে রাজী না হওয়ায় তার পিতাকে প্রাণে মেরে ফেলর হুমকি দিতে থাকে সে। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধার বরাদ্দকৃত ঘর “বীর নিবাস” নিজ বাড়ি চালায় নির্মাণ করতে চাইলে বাবাকে বাধা দেয় ছোট ছেলে আব্দুস সাত্তার।

এবিষয়ে গত ১৫ জুলাই সকালে আপোস মিমাংসার জন্য স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ শালিসী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আলোচনা চলাকালে কাঠের বাতা ও বাশের লাঠি হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বাবার উপর চড়াও হয় আব্দুস সাত্তার, তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তাদের পূত্র রফিকুল ইসলাম। বৈঠকে বসা লোকজন অপমানীত হয়ে চলে গেলে মারপিটের শিকার হন পিতা ফয়জার আলী। উক্ত মুক্তিযোদ্ধার বড় ভাইয়ের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও নাতী মেহেদী হাসান আহত অবস্থায় ফয়জার আলীকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জার আলী জানান, তার বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই সে আমার নিজ নামীয় সকল জমিজমা তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। রাজী না হওয়ায় পূর্বেও একাধীকবার তিনি তার ছোট ছেলের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা ফয়জার আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, জমি লিখে না দেওয়ায় তাদেরকে প্রায়ই প্রাণনাশের হুমকি দেয় ছোট ছেলে আব্দুস সাত্তার। তার ভয়ে মাঝে মাঝে বাড়ি ছেড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন তারা । এমতাবস্থায় জানের নিরাপত্তা ও অন্যায়ের বিচার চান তিনি।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। আমি এরকম ন্যাকারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।”

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন জানান এবিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের কাজ চলছে। তদন্ত শেষে এবিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুড়িগ্রাম,মুক্তিযোদ্ধা,পিতা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত