দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখতে চাই না : লিয়াকত আলী 

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ২০:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, আমাদের দেশের আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত ও আমাদের ভরসার প্রদীপ। তারাই হবে এ দেশের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার হাতিয়ার।

আর তাদের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। সারা বিশ্বে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিশ্বময় ভালো নেতৃত্ব এ অপপ্রচারের কারণে থাকবে না। সেই অপপ্রচারকে সংস্কৃতি কর্মীদের মাধ্যমে রুখতে হবে। দেশ, সমাজ ও বিশ্বকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। এ দেশের মাটিতে আর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের তাদের গাড়িতে আর জাতীয় পতাকা আমরা দেখতে চাই না।

শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে চাঁদপুর জেলা শিশু সংগীত ও শিশু নৃত্যদলের প্রযোজনা নির্মাণ কর্মসূচির দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, সারাদেশেই এ কর্মসূচি চলছে। একটি শক্তিশালী প্রতিভার বিকাশ ঘটানোই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য। একদিনের প্রশিক্ষণের পরই আজ পরিবেশনা হলো। এটা স্মার্ট বাংলাদেশের একটি প্রারম্ভিক লক্ষণ। শিল্পের বৈশিষ্ট্য প্রতিভার বিকাশ। সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। শিশুদের বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন এবং তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণভাবে ভালোবাসেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমরা কেন অপেক্ষা করব ২০৪১ সালের জন্য। আজ দর্শকদের হাততালির মাধ্যমে বলা যায়, চাঁদপুর স্মার্ট বাংলাদেশের একটা অংশ হিসেবে অনেক এগিয়ে আছে।  
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন, জেলা কালচারাল অফিসার দিতি সাহা।

শুরুতেই জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু সংগীত দলের পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কথা ও সুরে গান ‘আমরা সবাই মঞ্চ কুড়ি নটনন্দনে ফুটব’। এছাড়া এসময় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।  

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় নৃত্য প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও কোরিওগ্রাফি করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক ইয়াসমিন আলী ও নৃত্য প্রশিক্ষক এস কে জাহিদ।