এলজিইডির সড়কে হরিলুট, প্রভাশালীদের বাড়ি বাড়ি ইটের স্তূপ

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ২০:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

কাউখালীতে এলজিডির রাস্তার ইট উঠিয়ে নিয়ে গেছে প্রভাবশালীরা। উপজেলার ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শীর্ষা খাল থেকে বেতকা লঞ্চঘাট পর্যন্ত কালীগঙ্গা নদীর বেড়িবাধে থাকা রাস্তার ইট হরিলুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশ না-করার শর্তে অনেকেই জানান, বেতকা খালের মোহনা থেকে কাউখালী-নেছারাবাদ  উপজেলার সীমানা পর্যন্ত  আনুমানিক প্রায় ৩ কিলোমিটার হেরিংবনের রাস্তা এমআরবি ব্র্যান্ডের ইট দিয়ে নির্মিত ছিল। বর্তমানে ওই রাস্তার বেতকার কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পর বাকী রাস্তার ইট প্রভাবশালীরা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুস্তুম আলী জানান, বেড়িবাধের রাস্তার ইট দীর্ঘদিন যে যার মত করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। প্রশাসনকে জানালেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ১সপ্তাহে রাস্তায় বাকী থাকা প্রায় ২০ হাজারের বেশী ইট পুনরায় লুটপাট হয়। 

এলাকার বেতকা গ্রামের প্রভাবশালী মিরাজ খানের ছেলে জিহাদ খানের বাড়ির বাগানের ভিতর খালের পারে হরিলুট হওয়া ১০-১৫ হাজারের ইটের স্তুপ শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়।

এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ ও হারুন আর রশিদ জানান, বেতকা গ্রামের বাদল, সোহাগ, ইদ্রিস, সোহরাব, মজিবুর ও যাবেদের বাড়িতেও রয়েছে এই রস্তার চুরি যাওয়া এমআরবি ব্র্যান্ডের ইটের স্তুপ।

স্থানীয় সাবেক মেম্বর মৃত-সোহরাব হোসেন এর ছেলে কামাল মাস্টার জানান, তার বাবা মেম্বর থাকা অবস্থায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৪-৯৫ সনে কালীগঙ্গা নদীর পারের রাস্তাটির হেরিংবনের কাজ করা হয়েছিল। 

হরিলুট হওয়া ইটগুলো সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু সাইদ জানান, তিনি ঢাকায় থাকায় কিছু লোকে ইটগুলো তুলে নিয়েছে বলে জানতে পরেন। পরে তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিন্টু মেম্বারকে বলে স্থানীয় গ্রামপুলিশকে ইটগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসার জন্য বলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, নিয়ে যাওয়া ইটগুলো উদ্ধার করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ বিষয়ে পিরোজপুর  জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।