কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত এনজিওকর্মী ও এক রোহিঙ্গাকে জনতার সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অস্ত্র সহ অপহরণ চক্রের ২ রোহিঙ্গা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার পরে উপজেলার হ্নীলার জাদিমোরা শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণ করা হয় এই দুই জনকে। তারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলার জাদিমোর এলাকার মৃত তজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৫০) ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হাকিম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)। এর মধ্যে হাসান এনজিও ফোরাম নামের একটি সংস্থায় ক্যাম্পে পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোছনের ছেলে মো. সেলিম প্রকাশ ছলিম (৩৩) ও একই ক্যাম্পের রশিদ আহমদের ছেলে মো. জসিম (১৯)।
এদের কাছ থেকে ২ টি এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ের পাদদেশে মেশিনে পানির উঠানোর সময় হঠাৎ পাহাড় থেকে একদল অপহরণকারীরা তাদের দুজনকে ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে দুই শতাধিক স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে অপহরকারিদের আস্তানা খুঁজে পেয়েছি। তবে অপহরণকারীরা আমাদের দেখে গহিন পাহাড়ের ভেতরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশও অভিযানে এসে যোগ দেন।
টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। ওখানে অবস্থান নেয়া জনতাকে সাথে নিয়ে পাহাড় অভিযান শুরু করা হয়। এসময় অপহৃত ২ জনকে উদ্ধার করলে ১৮/২০ জনের অপহরণকারীর দলটি দলছুট হয়ে পালানোর সময় পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর ২ জনকে অস্ত্র ও গুলি সহ ধরে পেলে। পরে পুলিশ ডাকাতদলের আস্তানা থেকে কার্তুজের খোসা, লোহার শিকল, হেসকো ব্লেড, হাতুড়ি, প্লাস, রেত, স্ক্রু ড্রাইভার, টর্চ লাইট, স্প্রে ক্যান, ইলাস্টিক, সীসা’র তৈরী জালের গুলতি (গুটি) এবং নীল রং এর কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার হয়।
এ ব্যাপারে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধার এবং অপহরণের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে এবং এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।