ধামরাইয়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপরর্যস্ত জনজীবন
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৯:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই (ঢাক) প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। বিদ্যুতের এ লোডশেডিংয়ে বিপর্রাযস্তত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ নির্ভর সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এখন আর বিদ্যুৎ যায় একথা আর কেউ বলেনা তবে মাঝেমধ্যে যে বিদ্যুৎ আসে এ কথা বলতে শোনা যায়। দিন-রাত সমান তালে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। ১সপ্তাহ ধরে সারারাত বিদ্যূৎ থাকেনা। তবে মাঝেমধ্যে আসে।
যদিও হঠাৎ মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের দেখা মিলে তাও আবার থাকে বড়জোড় থাকে ১ঘন্টা। এ যেন আরও বেশী বিরক্তিকর। বিদ্যুতের এ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে মায়ের কোলের শিশু থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধা বণিতা সকলেই ছটফট করে রাতদিন জুড়ে।
ধামরাই উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় ও রাতে থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড গরমের যন্ত্রণায় মানুষ শুধু ছটফট করছে ও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কোথাও মিলছেনা শান্তির বারতা।
ইহাছাড়া বিদ্যুতের এ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিদ্যুৎনির্ভর সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি চার্জারের অটো ভ্যানের কারনে ব্যাপক বিদ্যুৎতের ঘারতি পরে এদিকে কারো নজর নেই।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর আওতায় ধামরাই সদর জোনাল, কুশুরা জোনাল অফিস, বালিয়া,কালাপুর ও সুয়াপুর অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে যে পটিমাণ বিদ্যুবের চাহিদা রয়েছে তার অর্ধেক বিদ্যুতও সরবরাহ নেই। কিছুদিন দিন যাবত বিদ্যুতের বেহাল দশা ও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা একদম অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ধামরাই উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংক, এনজিও অফিস, ফটোকপি ও সাইবার ক্যাফেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে গ্রামীণ জনপদের লোকজন তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ল্যাব বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে তাদের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কথা হয় উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক প্রতিদিন রাতে চার্জ দেওয়া হয়। এতে অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চন্ডিরশর বাজারে আশরাফুল ইসলাম নামে অবৈধ ইজিবাইক তৈরী করে এগুলো বাজোর বিক্রি করে। দূত এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎতের আরো ঘারতি পরতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এসব অবৈধ ইজিবাইক চার্জের কারণে বিদ্যুতের বিরাট অপচয় হচ্ছে। এ বিষয়ে অবশ্যই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এতে কোন সন্দেহের অবকশ নেই।
ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল গণি সুমন বলেন, রাত ও দিনের পুরোটা সময় জুড়েই বিদ্যুৎ থাকেনা । কাজেই মাছ মাংসসহ ফ্রিজে রাখা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।
এ বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুতের বরাদ্ধ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় সারা দেশের মতো ঢাকার ধামরাইয়েও বিদ্যুতেরে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছে খুবশীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে।