প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সেভ দ্য চিলড্রেন’র সহযোগিতায় পরিচালিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
তিনি রবিবার সকালে আঞ্জুমানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, শামসুন নাহার, মাহফুজুর রহমান জুয়েল, কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনসুর আলী চৌধুরী, উখিয়ার শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আরা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন’র এডুকেশন প্রোগ্রামের এ্যাডভাইজর মেহেরুন নাহার স্বপ্না, ও সিনিয়র ম্যানেজার খান মো. ফেরদৌস।
পরিদর্শনকালে শাহ রেজওয়ান হায়াত উখিয়ায় সেভ দ্য চিলড্রেন’র শিক্ষা প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।
সফরকালে মহাপরিচালক সেভ দ্য চিলড্রেন’র কর্মী ও অংশীদারদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। শাহ রেজওয়ান হায়াত বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “উখিয়া উপজেলায় আপনাদের শিক্ষা কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমি আনন্দিত। আমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’র সাথে আপনাদের এই প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অংশীদারিত্বের প্রশংসা করি। আমরা সব শিশুকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে নিবেদিত এবং এ ধরনের প্রকল্প সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।“
পরিদর্শনকালে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালককে তাঁর এই সফর এবং বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে তার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এ সময় সেভ দ্য চিলড্রেন’র এডুকেশন প্রোগ্রামের এ্যাডভাইজর মেহেরুন নাহার স্বপ্না বলেন, “প্রতিটি শিশু যাতে মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ পায়, বিশেষ করে যারা সবচেয়ে বঞ্চিত ও প্রান্তিক, তা নিশ্চিত করতে আমরা সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।“
২০২২ থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সেভ দ্য চিলড্রেন 'এডুকেশন ক্যাননট ওয়েট' প্রকল্পের আওতায় উখিয়া উপজেলার ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪,১৬০ জন শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তি এবং পাঠদান-শেখার প্রক্রিয়া উন্নীত করণে কাজ করা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে এবং ২০১২ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় শিশুদের জন্য কাজ করছে। এছাড়াও উখিয়া ও টেকনাফে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি সেন্টমার্টিন, রামু ও কুতুবদিয়ায় এই আন্তর্জাতিক সংস্থার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।