চাঁদপুরে এক পাষণ্ড কলেজ শিক্ষক অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছে। শিক্ষকদের পছন্দের পাঞ্জেরী গাইড না কেনার কারনে ক্লাস ভর্তি শিক্ষার্থীদের সামনে থাপ্পড় দিয়ে কান ও ঠোঁট ফাটিয়েছে এবং তখনি শিক্ষার্থীর কান-ঠোঁট ফেটে অঝড়ে রক্তঝড়ে, এখন আহত হয়ে শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ অমানবিক পাষন্ড কান্ডটি ঘটিয়েছেন,ফরক্কাবাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ফরক্কাবাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস এর বিরুদ্বে শিক্ষার্থীর অভিভাবক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মডেল সূত্রে ও শিহাবের পরিবার থেকে জানা গেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে.রোববার(২৩ জুলাই) দুপুরে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিশেষ কোচিংয়ের ক্লাস ১১ টা ৩০ থেকে ১২ টার মধ্যে কলেজে ইংরেজী ক্লাস চলাকালিন সময়ে।
আহত মোঃ শিহাব খান সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের শুকুর উল্লাহ খানের ছেলে। সে ফরক্কাবাদ কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার রোল নং- ২০৩৫।
দ্বাদশ শ্রেনীর ফজলে রাব্বি, শরীফ আহমেদ, হৃদয় চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন জানান, পাঞ্জেরী গাইড না কেনার কারনে দিলীপ স্যার শিহাবকে তার টেবিলের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। পরে হঠাৎ দিলীপ স্যার শিহাবকে স্বজোরে একটি থাপ্পড় দেয়। সাথেসাথে শিহাবের ঠোঁট ও কান ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে এবং সে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয় আহত হয়।
একই কথা স্বিকার করেন আহত শিহাব খানও। পরে মেঝেতে পড়ে থাকা তাজা রক্ত শিক্ষক দিলীপ তার জুতা দিয়ে মুছে ফেলেন। একই সাথে শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ধারণ করতে কঠোর হুঁশিয়ারী করেন। ঐ শিক্ষক তখন বলেন, এ ঘটনার কোন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হবে। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, গাইড বই শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট করে দিতে সারা দেশের প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে চুক্তি করেন গাইড বই বিক্রেতা মালিক পক্ষ। আর এতে করে নানা লোভে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় নামে বেনামের গাইড বইগুলো।
এ বিষয়ে ফরক্কাবাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সে ক্লাসে ্অমনোযোগী ভাবে থাকে। তাকে শাসন করতে গিয়ে একটি থাপ্পর দিয়েছি। তবে এটা আমার ঠিক হয়নি বলে আমি বুঝেছি। তবে শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।