নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষের পাশাপাশি লাভজনক ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কাঁকড়া মোটাতাজা করন,কাঁকড়া চাষে, খরচ ও পরিশ্রম কম, লাভ বেশি হওয়ার দিন দিন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ কাঁকড়া মোটাতাজা করন চাষ। উৎপাদিত পরিপক্ক কাঁকড়া নোয়াখালী সহ বিভিন্ন বিভাগে গন্ডি চাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সহ বিভিন্ন দেশে।
নোয়াখালীর উপকূল অঞ্চল মেঘনা,বঙ্গপোয়াসাগর, হাতিয়া নদী, নালা-খাল বিল সহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে চলছে কাঁকড়া মহাউৎসব,সেখান থেকে অপরিপক্ক, নরম, ছোট,সাদা কাঁকড়া সংগ্রহ করে,খামারে এনে খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করে পাইকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাতিয়া,সূবর্নচর,কোম্পানিগঞ্জ সহ বিভিন্ন গ্রামে ছোট ও বড় পুকুরে কাঁকড়া ঘের তৈরী করে মোটাতাজা করন চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ৩০ থেকে ৪০ দিনে মধ্যে পরিপক্ক করে বাজার জাত ও রপ্তানি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নরম কেকড়া এনে,৩০/৪০ দিন খাবার হিসেবে ছোট মাছ ব্যবহার করে মোটাতাজা করে, স্থানীয় এলাকায় বাজার জাত করা হয়।
পুরুষরে পাশাপাশি নারী উদ্যেক্তা বলেন পরিবারের কাজে পাশাপাশি এই কাঁকড়া মোটাতাজা করন কাজ করে আসতেছে, এতে কম খরচ, লাভ বেশি হয়। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছে বলে জানান নারী উদ্যোগক্তা ।
বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা থাকায়, উপকূল অঞ্চল সহ বিভিন্ন ঘের থেকে কাঁকড়া এনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এতে লাভ বেশি হয়, পরিবার ভরণ পোষন ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ সব মিলিয়ে খুব ভালো আয় হয় বলে জানান। দূর হয়েছে পরিবারের অভাব অনটন। পাইকার হরিদাস জানান, কাঁকড়া ব্যবসা করে খুব ভালো আছেন,সঠিক লাইসেন্স এর মাধ্যমে সবাইকে ব্যবসা করার সুযোগ সহ সরকার চায়নার সাথে সুসম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে দেশে থেকে ভালো মানের কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি হবে। এতে ভালো মানের বৈদেশিক মুদ্রা আয় আসবেন বলে জানান।
মো সাইফুল ইসলাম নির্বাহী পরিচালক সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, তিনি জানান সরকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মসংস্থান পিকেএস,এফ এর সহায়তা গ্রামের নারী পুরুষরা ট্রেনিং সহ ঋনের ব্যবস্থা মাধ্যমে কর্মসংস্থান গড়ে তুলছে । অনেক বেকার যুবক ঋন নিয়ে কাঁকড়া নরম ছোট সাদা কাঁকড়া ক্রয় করে ৩০/৪০ দিন মোটাতাজা করে । বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে,এই কাঁকড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে। ঋন নিয়ে প্রায় ৬০ জন ঘের তৈরী করে লাভজনক ভাবে আছে বলে জানান।
উৎপাদিত কাঁকড়া ঢাকা থেকে রপ্তানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চীন,মালোশিয়া, থাইলেন্ড,তাইওয়ান,হংক্কন মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ,নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে এ কাঁকড়া মোটাতাজা করন করা হচ্ছে। এ কাঁকড়া চাষে উপকূলীয় অঞ্চলে বেকার যুব নারীদের যেমন কর্মসংস্থান তেরী হয়েছে, তেমনি বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। #