নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার গাবতলী টাগারপাড় এলাকার মানিক ওরফে কালা মানিক ওরফে পিচ্চি মানিক (৩৫) খুন হয়েছে। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে স্বজনেরা। ওই সময়ে পুলিশের সঙ্গে নিহতের স্বজনদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাত ৯টায় চাঁদমারী মাউরাপট্টি এলাকায় মানিককে ডেকে এনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। নিহত মানিক ওরফে কালা মানিক ওরফে পিচ্চি মানিক ফতুল্লার গাবতলী টাগারপাড় এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। নিহতের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানান, শরিফ নামে মানিকের এক বন্ধু বিচারের কথা বলে তাকে চাঁদমারী এলাকায় ফোন করে ডেকে আনে। এরপর মানিককে শরিফের একটি রিক্সার গ্যারেজে চেয়ারে বসিয়ে হাত পা বাঁধা হয়। একপর্যায়ে তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে হাতে এবং মাথায় কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে মানিকের বন্ধুরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মানিকের লাশ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে পুলিশের সাথে মানিকের আত্মীয় স্বজনদের ধস্তাধস্তি হতে দেখা যায়। মূলত মানিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিয়ে চায়নি তার স্বজনরা। তাই পুলিশ এতে বাধা দিলে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ফতুল্লা থানা পুলিশের সাথে লাশ নিয়ে মানিকের বন্ধু ও স্বজনদের টানাটানিও হয়েছে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নূরে আজম মিয়া জানান, ইতোমধ্যেই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। ঘাতক চক্রকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।