ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাড়িঘর যমুনা গর্ভে বিলীন

সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে পাউবো

সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে পাউবো

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক ঘরবাড়ি, খেয়াঘাট, গাছপালা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারী বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পায় এবং ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে। তবে বর্তমানে যমুনার পানি সামান্য করে কমলেও ভাঙ্গন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম থেকে ওই উপজেলার চরাঞ্চলের তেকানি, খাসরাজবাড়ি ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই শতাধিক ঘরবাড়ি ও হাড্ডির খেয়াঘাটসহ অনেক ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এবং বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন হুমকির মুখে।

ইতিমধ্যেই খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের মুখ থেকে অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তেকানী ইউনিয়নের ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং এ ভাঙ্গন এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং এখন আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

তবে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, এ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে। এরমধ্যে যমুনা নদীর পূর্বপাড় চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। তীব্র শ্রোত ও পানি প্রবাহের কারণে প্রতিবছরই চরাঞ্চলে এ ভাঙ্গনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবারেও ভাঙ্গনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এছাড়া শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও এনায়েতপুরের অনেক স্থানে ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় ভাঙ্গন এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদরের একাংশ) আসনের এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের প্রচেষ্টায় চরাঞ্চলে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে প্রায় ১২৩০ মিটার পাকারাস্তা নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে বেশিরভাগ রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

তিনি চরাঞ্চল মানুষের সবসময় খোঁজখবর নেন এবং ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেন। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, চরাঞ্চলের ভাঙ্গন বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে ইতিমধ্যেই তেকানী ইউনিয়নের ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিরাজগঞ্জ,ভাঙ্গন,বাড়িঘর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত