বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপণের উপযুক্ত সময় হলেও এ বর্ষা মৌসুমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নেই বৃষ্টির দেখা, যার কারণে বিপাকে কৃষকরা। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বৃষ্টি না থাকায় সাথে প্রচন্ড রোদ অব্যাহত যার জন্য মাঠের পর মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
ফলে আমন চাষীদের সেচ পাম্পের পানিই এখন একমাত্র ভরসা করছেন। এতে কৃষকদের আমন ধান চাষের খরচ অনেকগুন বেড়ে গেছে। সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেই বৃষ্টির পানিতে আমন ধান রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন কৃষকরা। কিন্তু এবার তার ভিন্ন চিত্র, কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে পানির অভাবে কৃষক ধান রোপণ করতে পারছেন না। মাঠে পানি না থাকায় হালচাষ ও ধান রোপণে কৃষকের ব্যস্ততাও নেই। কোন কোন কৃষক সেচ দিয়ে জমি লাগাতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে কিছু জমিতে ধান চারা রোপণ আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছেন।
উপজেলার পৌরসভা নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক নুর আলম মাস্টার বলেন, এ সময়ে ধান রোপনের একমাত্র বৃষ্টির উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আমরা পানির অভাবে জমিতে ধানের চারা লাগাতে পারছিনা, নির্দিষ্ট সময়ে চাষাবাদ শেষ করতে না পারলে সামনে সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে। দেখি কয়েকদিন না হয় সেচের ব্যবস্থা করে জমিতে ধানের চারা লাগাতে হবে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস বলেন, এ উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১৫ হাজার ৪০০ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে বৃষ্টির না হওয়ার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে কৃষের। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি দেখা মিলবে।
তবে প্রচন্ড রোদ অব্যাহত থাকলে কৃষকদের সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি যে কোন বিষয়ে।