মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজন : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী 

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ২০:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখন প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজন। বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ও সুন্দর প্রক্রিয়ায় ৫৭ হাজার মেধাবীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

বুধবার কুড়িগ্রাম প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে এসো শিখি প্রকল্পের জেলা অবহিত করণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী । 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধবস্ত দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মাধ্যমে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুমসহ আধুনিকায়নের সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-যা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। তাই শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সব ধরণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় কোন নিয়োগ বিধি ছিলনা। আমরা সেগুলো করছি। কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি ও স্কুটি কেনাসহ তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বই  প্রদান করা হচ্ছে। তিনি ঘাম ও মেধা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো: মিজানুর রহমান’ ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর সোনিয়া রেনন্ডস কুপার ও কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম। 

কর্মশালায় জানানো হয়, এসো শিখি প্রকল্পে উপকরণ তৈরী, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও স্থানীয় জনগনের সম্পক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২৩ লাখ শিক্ষার্থীকে স্বাধীন ও সাবলীল পাঠক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ বিভাগের ১৫টি জেলায় ৮১টি উপজেলায় ১০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। কুড়িগ্রামের ৬টি উপজেলায় ৭৩৯টি স্কুলে এই কার্যকম চালু হবে বলে জানোনো হয়।