২৪ জুলাই সৌদি আরব থেকে সৌদি এয়ারলাইনসে সকাল সাতটায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জাহিদুল ইসলাম (২৫)। স্বজনেরা তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। তখন জাহিদুল বলেছিল আমি বিমান থেকে নেমেছি। ১০ মিনিট সময় লাগবে, তোমরা দুই নম্বর গেটে অপেক্ষা কর। সেই থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এরপর থেকে ওই প্রবাসী যুবক নিখোঁজ।
নিখোঁজ জাহিদুল ইসলামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের করোটিয়া পাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত জালাল মিয়া। তিন দিনেও তাঁর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তার মা ও স্বজনেরা।
জানা যায়, ২৪ জুলাই সকাল সাড়ে ছয়টায় সৌদি আরব থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জাহিদুল। বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাঁর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তাঁর চাচা এনামুল হক তাঁকে বাড়িতে আনতে গাড়ি নিয়ে ভোরে বিমানবন্দরে যান।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিমানবন্দরের একটি সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারেন, বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইমিগ্রেশন থেকে বের হয়ে লাগেজ রেখে শুধু একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে এক নম্বর গেট দিয়ে বের হয়েছেন তিনি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
জাহিদুলের মা বেগম আক্তার বলেন, জাহিদুলের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার বাবা মারা যায়। ছয় বছর আগে আমার ছেলে সৌদি আরব যায়। দেশে এসেই বিয়ে করার কথা ছিল। তাঁর পছন্দের পাত্রীও দেখে রাখা হয়েছে। মায়ের ধারণা জাহিদুল কোনো প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন। তারা গাজীপুর ও রাজধানী ঢাকার সব হাসপাতালেও খোঁজ নিয়েছেন।
জাহিদুলের চাচা এনামুল হক বলেন, এয়ারপোর্টে আসার পর তার সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। সর্বশেষ সকাল আটটার দিকে জাহিদুল ইমুতে ভয়েস রেকর্ডের জানিয়েছেন আমার মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে। তুমি দুই নম্বর গেটে আমার জন্য অপেক্ষা কর। পরে ভেতরে লাগেজ পাওয়া গেলেও জাহিদুলের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের পরের দিন চাচা এনামুল হক বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় জিডি করেন।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফতাব উদ্দিন বলেন, নিখোঁজ ওই ব্যক্তির মুঠোফোন নম্বর থাকলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর সন্ধান করতে সহজ হতো। আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এসে কোন গাড়িতে সে উঠেছে তা বের করার চেষ্টা চলছে।
