টাঙ্গাইলে ডেঙ্গুজ্বরে প্রথম ১ জনের মৃত্যু, ২ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৬:০৯ | অনলাইন সংস্করণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আলমগীর মিয়া(৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আক্রান্ত দুই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জানাগেছে, বুধবার (২৬ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে আলমগীর মিয়া জ্বর নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আলমগীর মিয়ার শরীরে ডেঙ্গু পজিটিভ শনাক্ত হয়। তিনি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপ‌জেলার হিঙ্গানগর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
 
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, আলমগীর মিয়া বুধবার বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

তিনি জানান, হাসপাতালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ‌্যা বাড়‌ছে। এদিকে, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দুই ডেঙ্গু রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- গোপালপুর গ্রামের সেনের মাকুল্যা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মো. সেলিম(৩৩) ও দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের বিশা সিকদারের ছেলে সবুজ মিয়া(১৯)। 

আক্রান্তরা জানায়, সবুজ মিয়া গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত এবং মো. সেলিম ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় রিকশা চালাতেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তারা বাড়ি ফিরে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাদের দুই জনের শরীরে ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত হয়। 

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি জানান, ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত হওয়া দুই রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটায় তাদেরকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। 

অপরদিকে, টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৯ জন, নাগরপুরে ৫ জন, মির্জাপুরে ২ জন, সখীপুরে ২ জন, মধুপুরে ১ জন এবং গোপালপুর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। 
তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত টাঙ্গাইলে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৩৮ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৪ জন।