চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৯:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন, গতবছর ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ। ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫টি। ফলাফল যাচাই করে দেখা যায়, এবার পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং ছাত্রী ৮৬ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।  ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম।

এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১১ হাজার ৪৫০ জন যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ২১৪ জন কম। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৭৭১ জন কম এবং ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন যা গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৪৪৩ জন কম।

এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৬ দশমিক ৮১। মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিকে ৪১ শতাংশ, যা গত বছর ৭৮ দশমিকে ৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ০৬ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ। 
 
বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ জন, মানবিকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪১৭ জন।

চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। মহানগর ছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় পাশের ৭৮ দশমিক ১০ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।  

কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৬৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৭০ দশমিক ৩০ শতাংশ।

সকল সূচকেই এ বছর পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় খারাপ ফল করেছে। পূর্ণ সময় ও সব বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে বলে জানান বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।

জিপিএ ৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। গত বছরের তুলনায় তাদের জিপিএ ৫ কমেছে ৭ হাজার ২১৪টি। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকায়ও এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে।  

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ জানান, করোনা পরিস্থিতির সময় পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়নি। এরপর এবারই সব বিষয়ে এবং পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। তাই পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। সামগ্রিক চিন্তা করলে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে।