সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এক ব্যবসায়ির বাড়ি ও গুদামে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, পাটকেলঘাটা থানাধীন কুমিরা ইউনিয়নের বকশিয়া গ্রামের কামাল মোড়লের ছেলে ইনছার আলী মোড়ল ও একই ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের আফাজউদ্দিন সরদারের ছেলে আবুল কাশেম।
তালা উপজেলার কুমিরা চারাবটতলার হলুদ ব্যবসায়ি গিয়াসউদ্দিন সরদারের স্ত্রী তাহেরা খাতুন জানান, বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ১৪/১৫ জনের একদল ডাকাত একটি পিকআপ যোগে তাদের বাড়ির নীচের তলায় আসে।
ভবন সংলগ্ন একটি আম গাছ বেয়ে তাদের কয়েকজন দোতলার ছাদে ওঠে। এ সময় তারা বাড়ির কার্নিশে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। ছাদ থেকে তারা একটি বাঁশের মই দড়ি দিয়ে বেঁধে নীচে নামিয়ে দেয়। ওই মই বেয়ে উঠে তারা দোতলার বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরে ঢোকে। মুখে মাক্স পরা ৫ থেকে ছয় জন ডাকাত পিস্তল ও রাম দা দিয়ে তাকে, তার স্বামী গিয়াসউদ্দিন, ছয় বছরের ছেলে তাসিম ও বাবা সেনপুর গ্রামের আবুল হোসেনকে জিম্মি করে আলমারির চাবি দিতে বাধ্য করে।
এ সময় ডাক্ত দলের সদস্যরা আলমারি খুলে নগত তিন লাখ টাকা, দেড় ভরি সোনার গহণা লুট করে। পরে তারা একটি মটর সাইকেল, একটি ল্যাপটপ, একটি ভিডিও ফোনসহ ব্যবহাত জিনিসপত্র লুট করে। নীচে নেমে তারা গুদাম থেকে প্রতি বস্তায় থাকা ১০০ কেজি ওজনের ৫৫ বস্তা শুকনা হলুদ নিয়ে যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা। ঘণ্টাব্যাপি এ লুটপাট চালায় তারা। ডাকাত দলের সদস্যরা চলে যাওয়ার পর তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান, গিয়াসউদ্দিনের বাড়ি ও হলুদের গুদামে ডাকাতির অভিযোগে ইনছার আলী মোড়ল ও আবুল কাশেম নামের দুইজনকে শনিবার ভোরে মীর্জাপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি (খুলনা মেট্রো-ন- ১১-১৩৯৩)। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।