জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩ জমজ ভাই-বোনকে দিনাজপুরের ডিসি শাকিল আহমেদের সংবর্ধনা

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

বিরামপুরের জিপিএ-৫  প্রাপ্ত ৩ জমজ ভাই-বোনকে দিনাজপুরের ডিসি শাকিল আহমেদ সংবর্ধনা দিয়েছেন। রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কক্ষে কৃতি শিক্ষার্থী ৩ জমজ ভাই-বোনকে দিনাজপুরের ডিসি শাকিল আহমেদ ফুলেল শুভেচ্ছা, নগদ অর্থ ও উপহার প্রদান করেন। 

অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে জিপিএ-৫  প্রাপ্ত ৩ জমজ শিক্ষার্থী, তার বাবা-মা, প্রধান শিক্ষক আরমান আলী, বিরামপুরের ২ প্রেসক্লাবের সভাপতিদ্বয় মোরশেদ মানিক ও আকরাম হোসেন ডিসির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর ৩ জমজ ভাই-বোনের জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ফুলেল সংবর্ধনা জানান। তিনি নগদ অর্থ ও উপহার প্রদান করেন। তাদের গর্বিত মা-বাবার ভুয়সী প্রশংসা করেন। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে  প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। শিক্ষার্থীদের মা-বাবা জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা ও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় চমক দেখিয়েছেন যমজ ৩ ভাইবোন। উপজেলার বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনজনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে একজন জিপিএ গোল্ডেনও পায়। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলেন- ভাই লাসার সৌরভ মুরমু এবং দুইবোন মেরি মৌমিতা মুরমু ও মারথা  জেনিভিয়া মুরমু। বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের জোহানেস মুরমু ও সোহাগীনি হাসদার দম্পতির যমজ সন্তান তারা। বাবা উত্তরবঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প নামের একটি বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করেন।

যমজ তিন সন্তানের মা সোহাগীনি হাসদার জানান, ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পার্বতীপুরের একটি মিশন হাসপাতালে একে একে তিন সন্তান জন্ম নেয়। ছোটবেলা থেকেই তারা তিন ভাই-বোন পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী। ২০১৭ বিরামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলেও এবার তারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনজনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার।

মেরি মৌমিতা মুরমু জানায়, আমরা তিন ভাইবোন একসঙ্গেই পড়াশোনা করি। আমরা এমন ফলাফলে অনেক খুশি। আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক মা। বাবার উৎসাহে আমাদের অনুপ্রেরনা ছিল। আমরা কখনোই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম না। ক্লাসে আমাদের পাশাপাশি রোল ছিল। শিক্ষকরা আমাদের অনেক উৎসাহ দিতেন।