নারায়ণগঞ্জে পিচ্চি মানিক হত্যার মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৩
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ১৭:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার চাঁদমারি এলাকায় বিচার সালিশের কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ী পিচ্চি মানিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শরীফ, নাঈম ও শান্ত এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা এবং মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। গ্রেফতারকৃতরা চাঁদমারি এলাকার দাউদের পুত্র।
সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হাসান বলেন, বিচার সালিশে মীমাংসার কথা বলে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী পিচ্চি মানিককে গত ২৪ জুলাই রাতে ফোন করে চাঁদমারি মাউরাপট্টি এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় শরীফ। এরপর পূর্বশত্রুতার জের ধরে শরীফ ও তার সহযোগিরা মিলে তাকে একটি অটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে হাত পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে বন্ধুরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ডালিয়া বেগম বাদি হয়ে দাউদ, দাউদের ৫ পুত্র শরীফ, আরিফ, সজিব, শান্ত ওরফে ইয়াকুব আলী, নাঈম এবং তুহিন, জিসান, জুয়েল এই নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাতজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে র্যাব। তবে মামলার পর থেকেই হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিরা পালিয়ে আত্মগোপন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারি শরীফ ও তার দুই সহযোগির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিয়ান চালায়। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় শরীফ ও নাঈমকে। পরে গ্রেফতার করা হয় শান্তকে।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধি চক্রের সদস্য। এলাকায় ত্রাস ও আতংক সৃষ্টি করে তারা বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। যার মধ্যে শরীফের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যসহ পিচ্চি মানিক হত্যা মামলার পলাতক আসমিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।