চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন, চাঁদপুর পৌর এলাকার বেশীর ভাগ জায়গা বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গার মধ্যে পড়েছে। তাই আমরা চাঁদপুর পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি রেলওয়ে কর্মর্তাদের সাথে ব্যাপক আলোচনায় কালে তাদের উর্দেশে এসব কথা বলেন।
এ সময় মেয়র শহরে বড় ষ্টেশন থেকে কোর্ট ষ্টেশন পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরন, শহরের রেলওয়ে বড় স্টেশনের নতুন ভবন ও ফ্লাট ফরম করার ফলে এখন ওভারব্রীজ নির্মান,কোর্ট ষ্টেশন এলাকায় গেইট ব্যারিয়ার ও রাস্তাটি প্রশস্তকরন, লেকের পাড়ের ছায়াবানী হল এলাকার রাস্তাটি প্রশস্তকরন,রেলওয়ের ২টি লেককে পৌর খরচে বাধাই ও দৃষ্টিনন্দন, নান্দনিক করা ও রেলওয়ের যে সকল পুকুর ব্যক্তি মালিকানায় রয়েছে, সেগুলো পৌরসভাকে লিজের মাধ্যমে দিলে পৌরসভা সেখানে ইজিবাইক স্ট্রেন্ড নির্মান ও চাঁদপুর বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী গনশোচাগার করতে পারে বলে ব্যাপক আলোচলায় তিনি মিলিত হয়ে এ সব উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার সন্মেলন হলে চাঁদপুর পৌর এলাকার উন্নয়নে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল, পৌর পরিষদের কর্মকতা ও পৌর কাউন্সিলদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিল্লায় দায়িত্বরত সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোরছালিন রহমান,কুমিল্লা ও লাকসামের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী(এসএসএ/ই পথ) মো: লিয়াকত আলী মজুমদার,চাঁদপুর পৌর সচিব মো: আবুল কালাম ভুঁইয়া, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, কাউন্সিলর মো: মালেক শেখ,মো: হাবিবুর রহমান দর্জিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মেয়র আরো বলেন,বিশেষ করে চাঁদপুর পৌরসভা দেশের মধ্যে একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হওয়া সত্বেও শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থান শহরের কোর্টস্টেশন এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের বিচরন হলেও সেখানে একটি পাবলিক টয়লেট নেই। এ ছাড়া এ শহরের কয়েক হাজার ইজিবাইক রাখার একটি স্ট্রেন্ড না’থাকায় সাধারন জনগন প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
এ সময় রেলওয়ের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষ থেকে সরকারের নিয়ম নিতির মধ্যে যতটুকু সম্বব সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিল্লায় দায়িত্বরত ও চাঁদপুরেরও দায়িত্বে থাকা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোরছালিন রহমান বলেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান চট্রগ্রাম বিভাগীয় মহাপরিচালক (জিএম) ও চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) অত্যান্তমান ভাল মনের মানুষ।
তাদের সাথে আলাপ করে চাঁদপুর রেলওয়ের জায়গায় পৌর এলাকার উন্নয়নে সহায়তা চাইলে তা’পেতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। এ ছাড়া তিনি আরো পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুরের সাংসদ হিসেবে ডা. দীপু মনির মাধ্যমে সহায়তা চাইলে আপনারা অতিদ্রুত সময়ে যে কোন সহায়তা পাবেন এবং চাঁদপুর পৌরসভা এলাকার উন্নয়ন করতে পারবেন।
