কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিজিবির এক সদস্যসহ গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী জাফর আলমকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় বিজিবি সদস্যরা ইয়াবা উদ্ধারে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে টেকনাফের হ্নীলার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে রফিক (৪৮)। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৭ জনকে আইওএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসা জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে বিকাল সাড়ে ৪ টায় ৫ জনকে আনা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এরা হলেন, বিজিবির সিপাহি মাহমুদুল (২২), লেদার নুর হোসেনের ছেলে ইসমাঈল (৬০), নজির আহমদের ছেলে ওসমান (১৮), মৃত সাত্তারের ছেলে গুরা মিয়া (৯০), কামাল আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫)।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, লেদা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমের ভাই জাফর আলমের বাড়িতে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এসময় ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় সংঘবদ্ধ মাদক কারবারিসহ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। এ ঘটনায় একজন নিহত সহ ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ ঘটনায় একজন নিহত ও কয়েক আহত হওয়ার খবর শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের অভিযানে বিজিবি ওপর হামলা, গুলি ও পাল্টা গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হতাহত রয়েছে। বিষয়টি বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে।
টেকনাফ থানার ওসি মো. জোবাইর সৈয়দ জানিয়েছেন, লেদায় বিজিবির সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে শুনা গেছে। তবে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।