হকার থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া নুরু ওরফে প্রতারক নুরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ফুটপাতে এক সময় করতেন হকারী। কখনো শাক-সবজী, কখনো বা মাছে বিক্রি করতে কোন মতে চলতো সংসার। সেই নুরু এখন কোটিপতি। সাভারের চাপাইন এলাকায় করেছেন বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন কয়েক বিঘা জমি। তার এমন উত্থানে হতবাক হকার্সরাও। কিভাবে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলেন নুরু? এমন প্রশ্নই এখন অনেকের মুখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরু সাভার মডেল থানায় প্রতারণাসহ একাধিক মামলার আসামি। জাল কাগজপত্র দিয়ে তদবির ও প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ই তার মূল পেশা। কখনো সাংবাদিক, কখনো রাজনৈতিক নেতা আবার কখনো বা প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তার প্রতারণা। এভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নুরু সর্বনাশ করেছেন অনেক নিরীহ হকারদের।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাভার মডেল থানার তালিকায় একজন প্রতারক ও বিভিন্ন মামলার আসামি নুরু। সর্বশেষ নুরু আলোচনায় আসলেন সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ইসরাফিল হোসেনকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে।
রাজ্জাক কাঁচা বাজারের মের্সাস শিহাব স্টোরের মালিক ইসরাফিল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি নুরু আমার কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা ও ১ হাজার টাকার চাল বাকীতে নেয়। সেই টাকা চাইলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। নুরু তাকে হুমকি দিয়ে বলে- আমাকে চিনিস? সাভারে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে জানিস? নাজমুল হুদার মতো সাংবাদিক (জনৈক প্রভাবশালী সাংবাদিক) নাকি তার পকেটে থাকে। এসব বলে আমার কর্মচারীদের সামনেই আমাকে মারতে উদ্যোত হয়।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী। যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব সাহা জানান, নুরুর বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় জামিনে বেরিয়ে আবারো প্রতারণায় ফিরে গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।