চন্দ্র মোহন রুস্তম মোমরোয়িল স্কুলে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

তড়িঘরি করে পরীক্ষা

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তড়িঘরি করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্মন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশালের চন্দ্র মোহন রুস্তম মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। 

ম্যানেজিং কমিটির ৬সদস্য ও চাকুরি প্রত্যাশিরা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতে মামলা ও ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেও স্বচ্ছ নিয়োগের ব্যাবস্থা করাতে পারে নি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সবাইকে ম্যানেজ করে দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের।

 হিসাব সহকারি পদের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্র মোহন রুস্তম মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী, অফিস সহায়ক  অফিস  সহকারি কাম হিসাব সহকারি পদে এ বছরের মে মাসের ২৫তারিখ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। 

তিনি ওই পদে আবেদন করলে তার কাছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার ছেলে ১০লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে। তিনি ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী। 

তিনি ঘুষ দিতে পারবেন না। বরং তাকে নিলে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে। পরে তারা অন্য প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করে টাকা নেন। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অরুন ঢালী জানান, নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি জানতে পেরে তা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। 

এর আগে তারা আদালতে মামলাও করেন। এসব কারনে দুইবার ১৫ ও ২৯জুলাই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করেও তা স্থগিত করে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সবাইকে ম্যানেজ করে পুনরায় ১দিন পর ৩১জুলাই ওই পরীক্ষা নেন। 

তবে ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারির সংখ্যা খুবই ছিল। এমনকি পরীক্ষায় কমিটির ৫জনের মধ্যে একজন বিদোৎসাহি মেম্বার থাকার কথা থাকলেও অনিয়মে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি নিয়োগ বোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন। আরেক পরীক্ষার্থী জানান, মোটা অংকের ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ইউএনও বরাবর গত ১৩ই জুলাই অভিযোগ দেন প্রার্থী সহ ম্যানেজিং কমিটির একাংশ। 

এর আগে সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী ৩৯৩/২০২৩নং মোকাদ্দামাও দায়ের করা হয়। নিয়োগ বানিজ্যের খবর ছড়িয়ে পরায় ২৯জন আবেদনকারির মধ্যে অংশগ্রহন করে ১৪জন। তবুও তারা পরীক্ষা নেয় এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়। এ দিকে তড়িঘরি করে পরীক্ষা গ্রহনের কারন জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা রানি ও ডিজির প্রতিনিধি আরজু মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিতা রানি হালদার জানান, বারবার তারিখ দিয়ে তাদের আনা হয় তাই মানবিক কারনে পরীক্ষা নিয়েছি।

 যদি আবারও আইনি জটিলতা দেখা দেয় তবে ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল হবে। তাদেরকে বলা হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আসার জন্য কিন্তু তারা তা আনলে এটা তাদের বিষয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল আহম্মেদ জানান, অর্থ গ্রহনের বিষয়টি মিথ্যা এবং অবাস্তব। তিনি ম্যানেজিং কমিটির সবাইকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কেউ না আসলে তিনি কি করবেন। 

তিনি জানান, মামলার একটি নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। সেই বলে তিনি পরীক্ষা নিয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগটি পরীক্ষা হওয়ায় আগেই দেয়া হয়েছে। তিনি ১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ৭কর্ম দিসবের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে তিনি যথাযথ ব্যাবস্থা নেবেন।