নেত্রকোনার পুর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেবর সুজন আহমেদের (৩০) বিরুদ্ধে তার ভাবি রানু বেগমকে (৩৫) এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নিহতের সাড়ে তিন বছরের ছেলে শিশু আলিফ আহমেদও গুরুতর আহত হয়েছে।
জেলার পুর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কুমারকান্দা গ্রামে বৃহস্পতিবার (৩আগস্ট) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। রানু বেগম ওই গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত সুজন এই খোকন মিয়ার ভাই ও আব্দুর রাশিদের ছেলে। সুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত রানুর স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরার পর তার সাথে পরিবারের অন্যান্য লোকজনের জমি ও টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সুজন তার ভাবিকে ছুরি দিয়ে গলা, বুকে ও পিঠে আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রানু বেগম। ঘটনার সময় সুজন তার ভাতিজা সাড়ে তিন বছর বয়সের আলিফকেও আঘাত করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে কিছু লোক সুজন ও তার মাকে একটি ঘরের ভিতর আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
পুর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সুজন আহমেদ আটক রয়েছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।