ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে পুলিশ কর্তৃক অপহরনের শিকার মাদ্রাসাসা ছাত্র উদ্ধার

চাঁদপুরে পুলিশ কর্তৃক অপহরনের শিকার মাদ্রাসাসা ছাত্র উদ্ধার

চাঁদপুরে পুলিশ কর্তৃক অভিযান চালিয়ে অপহরনের শিকার মাদ্রাসাসা ছাত্র নাঈম হোসেন (১৫) কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নাঈম সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর ইউনিয়ন এলাকার তাকওয়া দারুল আকরাম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে,গত মঙ্গলবার(১ আগস্ট) কোন এক সময়ে।

বর্তমানে বৃহস্পতিবার শিশু শিক্ষার্থী নাঈম হোসেন তার বাবা মায়ের কাছে ফিরে এসে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে বাবা-মায়ের কাছে রয়েছে। সে বলেছে সে আর বাবা-মা’কে ছেড়ে কোথায়ও যাবেনা। সে অপহরনকারী চক্রের হাতে নির্যাতনে লৌমহর্ষক ও ভয়াবহ অবস্থার কথা বর্ননা দিয়েছে পরিবার তথা এলাকাবাসীর কাছে। এ সময় এ সব কথা বলতে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ মুহসীন আলম অত্যান্ত চোর্কস বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মুক্তিপণ চাওয়া বিকাশ নাম্বার সূত্র ধরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে কিশোর নাঈমকে উদ্ধার করেছেন।

জানা যায়, গত সোমবার(৩১ জুলাই) বিকেলে নাঈম সহপাঠী আবু সাঈদ এর সাথে মাদ্রাসার কাউকে না বলে চট্টগ্রামে ভ্রমনের উদ্দের্শে বাহির হন। পরদিন একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে নাঈমের বাবার কাছে আপনার ছেলে আমাদের কাছে আছে। তাকে কাজ করতে ৭ মাসের চুক্তি করে ২ মাসের বেতন অগ্রিম নিয়ে তার বড় ভাই আমাদের কাছে দিয়েছে। যদি তাকে ফিরে পেতে চান তাহলে এ বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন।’

এ অবস্থায় নাঈমকে পেতে বাবা নাছির গাজী দিশেহারা হয়ে ওই বিকাশ নাম্বারে ৯ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে নাঈমের বাবা নাছির মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ছেলেকে ফিরে পেতে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগের পর সদর মডেল থানার ওসি শেক মোঃ মুহসীন আলম, পুলিশ পরিদর্শক ইন্টিলিজেন্স মোঃ শামছুল আলম, উপ-পরিদর্শক শাহরিন ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অভিযানে নেমে পড়েন। পরে বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীর একজনের বাড়ি ভোলা জেলায় স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালান। জাতীয় পরিচয়পত্র সূত্রে অপহরকারীর বাড়ির ঠিকানা ভোলা থাকলেও সে তার পরিবার নিয়ে থাকে নোয়াখালী। পুলিশের এই তোরজোর কার্যক্রমের খবর চলে যায় অপহরকারী চক্রের কাছে। তারা অবশেষে অপহৃত নাঈমকে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে ট্রেনে উঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে নাঈমের বাবা নাছির গাজী জানান, আমার ছেলেকে পেয়ে আমি অত্যান্ত খুশি। পুলিশকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তারা চেষ্টা না করলে হয়তো আমি আমার ছেলেকে পেতাম না।

এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ শেক মো. মুহসীন আলম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ শুরু করি। আজ চট্টগামে আমাদের অভিযানে যাওয়ার কথা ছিল। অপহরকারী চক্র হয়তো তাদের গ্রামের বাড়িতে এ অভিযানের খবর টের পেয়ে নাঈমকে নিজেদের কাছে না রেখে মুক্ত হতে চাঁদপুরের ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে নিজেরা কেটে পড়লো।

চাঁদপুর,অপহরন,উদ্ধার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত