কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে পুত্রবধূ পাপিয়া আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শাশুড়ী পারুল আক্তারকে (৪৯) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরের পর কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারুল আক্তার জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হক খোকনের স্ত্রী।
কিশোরগঞ্জ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সনের ২ মে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারকে মারপিট করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত পাপিয়া আক্তারের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে স্বামীকে বাদ দিয়ে তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।