কক্সবাজারের ইনানীতে পর্যটকসেবায় চালু হয়েছে কায়াকিং। ইনানী বড়খালে পরীক্ষামুলক কায়াকিং চালু করেন বিচ বাংলা ট্যুরিজম। বৃহস্পতিবার ইনানী সী-বিচে এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সালেহ আহমদ। ‘বিচ বাংলা ট্যুরিজম’র কর্ণধার আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনানী ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই আবদুল মজিদ সহ অনেকে।
ইনানী ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই আবদুল মজিদ বলেন, ‘ইনানীতে কায়াকিং চালুর মাধ্যমে পর্যটন ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু হল। পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে এ ধরণের আরও নতুন নতুন মাধ্যম চালু হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পুরো আইন শৃংখলা রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
বিচ বাংলা ট্যুরিজমের কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমনে এসে সৈকত আর পাহাড় ছাড়া দেখার কিছু নেই। তাই, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে ইনানী বড়খালে কায়াকিং চালুর করেছি। এই কায়াকিং পর্যটকদের শতভাগ সেবা দিবে। ইনানীতে কায়াকিংয়ের অনুমোদন দেয়ায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, পর্যটন সেল ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।’
উল্লেখ্য, ভ্রমণ করার জন্য কায়াক হল একধরনের ছোট নৌকা যা বৈঠা বা লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। সাধারণত স্পোর্টস বা খেলার প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে জলাশয়, নদী, সমুদ্র উপকূল বা সমুদ্রে চালানো হয়। কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে নয়নাবিরাম মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে পাথুরে বিচ ইনানী বড়খালে ‘কায়াকিং’ পয়েন্ট। যেকোনো ধরণের গাড়ী নিয়ে যাওয়া যাবে ইনানী ‘কায়াকিং’ পয়েন্টে।