ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাস এলাকায় শুক্রবার ফের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে মাটি সরিয়ে ফেলে। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর অন্যতম প্রধান সড়কটির পাশে পাহাড়ের একাংশ ধসে রাস্তায় একটি মাইক্রোবাসের উপরে পড়ে। তাতে মাইক্রোবাসটি ধসে পড়া মাটিতে আটকে যায়। চালক গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মাটি চাপায় আটকে পড়া মাইক্রোবাসটিও ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পাহাড় ধসে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি বেলচা দিয়ে কেটে সরিয়ে নেয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সময় পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়া মাইক্রোবাসের চালক জীবন সাংবাদিকদের বলেন,সকালে আমি গাড়ি নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটা বিকট শব্দ হয়। দেখি পাহাড় ভেঙে পড়েছে। একটা বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ল। একটা গাছ দুই টুকরা হয়ে গেল। মাটি এসে আমার গাড়ি চেপে ধরল। আমি তখন ছিটকে গাড়ি থেকে বাইরে পড়ে যাই।
প্রসঙ্গত লালখান বাজারের মতিঝর্ণা, বাঘঘোনা, টাঙ্কির পাহাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। এসব এলাকায় প্রতি বর্ষায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়কের দুই পাশের পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা গত কয়েক বছরে ঘটেনি। কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আবহওয়া অধিদপ্তর ভারি বর্ষণ ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরের ৪৮ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাসা বাড়িতে প্রবেশ করে পানি। এতে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে জনজীবনে।