ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আগষ্ট মাসেই ষড়যন্ত্র কারীরা সমস্ত অপরাধ সংগঠন করার চেষ্টা করে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আগষ্ট মাসেই ষড়যন্ত্র কারীরা সমস্ত অপরাধ সংগঠন করার চেষ্টা করে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা করেছিল। ২০০৪ সালের বঙ্গবন্ধুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেট নিক্ষেপ করেছিল। এই আগষ্ট মাসের ১৭ ই আগষ্ট সারা বাংলাদেশে এক যোগে ৬৩ টি জেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। আগষ্ট মাস আসলেই কিন্তুু আমরা আতঙ্কে থাকি। কারণ এই মাসেই ষড়যন্ত্র কারীরা সমস্ত বড় বড় অপরাধ সংগঠন করার চেষ্টা করে।

মন্ত্রী শুক্রবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নাজিরপুর উপজেলার ৫নং শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শ্রীরামকাঠী কাঁচা বাজার বন্দরে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সভায় মন্ত্রী বলেন, জামাত বিএনপি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে, জ্বালাও পোড়াও করে জনসাধারণে জানমালের ক্ষতি করে নীল নকশা আঁকতে শুরু করেছে। তারা এখন ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্ন দেখে। পিরোজপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনার আমলে সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেছেন, ১৫ আগস্ট আসলে হায়নাদের কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে, রাজাকারদের বিচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সম্ভব হয়েছে।

উন্নয়নের এ ধারা অব্যহত রাখতে হলে শেখ হাসিনা সরকারের কোন বিকল্প নাই। উন্নয়ন করতে চাইলে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ বাংলাদেশে বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ হতো অনেক আগেই। তাদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা। তাদের টার্গেট একজন শেখ মুজিবকে মারা ছিল না। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা হত্যা করতে চেয়েছিল। আওয়ামীলীগ রাজাকারদের বিচার করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আবার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। খুনিদের বিচার করেছেন। আজকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কেউ আর বলতে পারেনা যে আমি অপরাধ করছি আমাকে কেউ কিছু করতে পারবা না। এইটা কোনদিন সম্ভব হতো না। যদি শেখ হাসিনা ফিরে না আসতেন।

অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, শেখ মাটিয়া ইউপি চেয়রম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, সম্পাদক নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণ কান্ত মজুমদার, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ফরাজী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গোপাল বসু, বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্র রঞ্জন হালদার, নারায়ন চন্দ্র শস্ত্রী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খোকন কাজী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, রোকুনুজ্জামান রোকন, উপজেলা ছাত্রলীদের সহ সভাপতি নাঈম হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, সঞ্জয় দা, আল আমিন সিকদার, হান্নান মৃধা, আবু তাহেন, শিশির মন্ডলও আউয়াল প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদুর রহমান, থানা ইনচার্জ অফিসার মোঃ হুমায়ন কবির, সাবেক দীর্ঘা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ আলম আকন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম তাপস প্রমুখ। আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প অপর্ণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। একইদিনে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী,অপরাধ,ষড়যন্ত্র
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত