পাহাড়ী জেলা রাঙামাটিতে টানা কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কৃষি ব্যবসা নির্ভর পাহাড়ী জনপদে স্বস্তি ফিরলেও, ভুমিধসের আশংকায় অস্বস্তিতে রয়েছে পাহাড়ে ঝুকিতে বসবাসকারীরা। তবে ঝুঁকিতে থাকা এসব বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, গতকয়েক দিন ধরে রাঙামাটিতে ঘন্টায় ১৩ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে গড়ে ৬৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ী ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়তে শুরু করেছে।
ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নৌপথে উপজেলাগুলোর সাথে রাঙামাটি জেলা সদরের যোগাযোগ চালু হয়েছে। গতি ফিরছে ব্যবসা বানিজ্যে, স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা।
একইসাথে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। সুত্রমতে, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ৮০ দশমিক ২০ এমএলএস। এখন গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১০৫ মেগাওয়াট। ৫টি ইউনিটের মধ্যে সচল রয়েছে ৩টি ইউনিট।
অন্যদিকে, ২০১৭ সালে জেলায় ভুমিধসে ১২০ জনের মৃত্যুর পর ভুমিধস পাহাড়ে একটি আতংকের নাম। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ে ঝুকিপুর্ণভাবে বসবাস করা বাসিন্দাদের মধ্যে এখন ভুমিধসের আতংক বিরাজ করছে। ঘর বাড়ি ছেড়ে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসনও জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ঝুকিপুর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে। তাই পাহড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।