উখিয়ায় বাল্য বিবাহ করতে গিয়ে কারাগারে বর

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্যবিবাহের আয়োজন ভেস্তে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আর এ আয়োজনের দায়ে তাৎক্ষনিক জেল-জরিমানা গুনতে হয়েছে বর ও কনের পরিবারকে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালীর গয়ালমারা নামক এলাকায়।

এসময় বাল্য বিয়ে আয়োজনের অভিযোগে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ তাৎক্ষণিক  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও বরের চাচা ও কনের পিতা প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন জানায়, শুক্রবার রাতে শিশুর সহায়তা জাতীয় জরুরী ফোন  সেবা ১০৯৮ হতে প্রাপ্ত ফোনের ভিত্তিতে স্থানীয় সমাজকর্মী ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  সালেহ আহমেদ এর নেতৃত্বে এই বাল্য বিবাহ বন্ধের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালেহ আহমদ জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্য বিয়ের খবরে পালংখালী ইউনিয়নে গয়ালমারায় অভিযান পরিচালনা করে তাৎক্ষণিক বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এসয়ম   টেকনাফ উপজেলার কাঞ্জরপাড়া এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে বর মোহাম্মদ রাসেল (২৪) কে ৭দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়াও বরের চাচা উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গায়ালমারা এলাকার মৃত ইমান হোসেনের পুত্র আবুল কালাম  ও কনের পিতা  উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গায়ালমারা এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র সলিমল্লাহ প্রত্যেককে  ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 পরে পাত্রী পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তারমিনা আকতারকে নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারসহ উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিসহ সবাইকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠেোর নির্দেশা প্রদান করা হয়। 

এদিকে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, বাল্যবিবাহের আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে। কিন্তু এইবারে ব্যতিক্রম শাস্তির কারণে বাল্যবিবাহ কমে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।

তাই উপজেলা প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধীদের জেল-জরিমানা করে শাস্তি দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আহবান জানান তারা।