কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পেঁচরা দারুস সুন্নাহ ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়মসহ নানা অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বোর্ড।
৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে সুপার ও নৈশ্যপ্রহরী পদে লিখিত পরীক্ষা নিতে গেলে অনিয়মে উঠে আসায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পেঁচরা দারুস সুন্নাহ ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় শূন্যপদে সুপার ও নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সুপার ৮ জন ও নৈশপ্রহরী পদে ৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
গত ৩০ জুলাই ভারপ্রাপ্ত সুপার মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ স্বাক্ষরিত সুপার ও নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য চিঠি প্রেরণ করা হয়।
৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডক্টর আবুল কালাম আজাদ ও লাকসাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রসাদ কুমার ভাওয়াল উপস্থিত হন।
নিয়োগ পরিক্ষা শুরু করার আগে মাদরাসা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ মোট ৬ জন এবং বর্তমান কমিটির সদস্য আবদুল কাদের,জাহাঙ্গির আলম, উসমান গনি, কবির হোসেন, ইব্রাহীম ও বদু মিয়া উপস্থিত ডিজির প্রতিনিধি ও লাকসাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন যে নিয়োগ বোর্ড গঠন ছাড়া ও কমিটির মিটিং আহবান না করে অবৈধ রেজুলেশন দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে পরিক্ষা গ্রহনের আয়োজন করেন।
অভিযোগের ভিত্তিত্বে ডিজির প্রতিনিধি ভারপ্রাপ্ত সুপার মাও.মাসুম বিল্লাহ কে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি উক্ত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের স্বীকারোক্তির পর অবৈধ এ নিয়োগ পরিক্ষা কে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ ছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন মাদরাসা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। সভাপতি দীর্ঘদিন মাদরাসা কমিটির সভাপতি থাকার কারনে পছন্দের প্রার্থীকে মোটা অংকের বিনিময়ে অযোগ্য লোককে অত্র মাদরাসায় নিয়োগ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষার মান নষ্ট করেছেন।
মাদ্রাসা দাতা সদস্য জাহাঙ্গির আলম ও অভিবাবক সদস্য উসমান গনি বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো বিষয় আমরা জানি না। নিয়োগ কমিটি কবে কখন গঠন হয়েছে সে বিষয়ে আমরা অবগত নই।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ সদস্যদের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, বিগত দিনের ন্যায় আমি এক সদস্যের বাড়ীতে গিয়ে বিজ্ঞপ্তির কথা বলে রেজুলেশন বইতে স্বাক্ষর এনেছি।
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম কে নিয়ােগ পরিক্ষাসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে মাদরাসার অফিস থেকে বের হয়ে যান।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডক্টর আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নিয়োগ পরিক্ষাটি বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে।