কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক ডাক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ডা.আরিফুল ইসলাম জেলার হাওর অধ্যুষিত উপজেলা মিঠামইন সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। নিহত ডা. আরিফুল ইসলাম হোসেনপুর পৌর সদরের ফায়ার সার্ভিসের পূর্ব পাশের মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোসেনপুর পৌর সদরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে হোসেনপুর থানা পুলিশ।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, পুলিশ যখন মরদেহ উদ্ধার করে তখন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। মরদেহ ফ্যানের সাথে গামছা প্যাচানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ছোট ভাই ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করে। বিয়ের বছর খানেক পর থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে শ্বশুরবাড়িতে মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন। তারা দুজন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। ঝগড়া হলেই মীরার বড় ভাই আমাকে ফোন করে জানাতো। গত রাতে হঠাৎ করে পৌনে ২ টার দিকে থানা থেকে ফোনে জানানো হয় আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে।
রাজিব বলেন, আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা হয়তো পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।