কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আরিফুল ইসলাম নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) নিহত চিকিৎসকের বড়ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলার পর নিহতের স্ত্রী ডা. শাহীন সুলতানা মিরা এবং মিরার দুই ভাই মো. নাসির উদ্দিন ও মো. এরশাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু।
জেলার হাওর অধ্যুষিত উপজেলা মিঠামইনের বাসিন্দা ডা. আরিফুল ইসলাম হোসেনপুর পৌর সদরের ঢেকিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী মিরাকে নিয়ে বসবাস করতেন। সেখানে তারা হোসেনপুরে মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক পরিচালনা করতেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাড়া বাসার বন্ধ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে হোসেনপুর থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মরদেহের পাশ থেকে "আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়" লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে। তবে, নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যার অভিযোগ তোলেন। অবশেষে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি করতেন এই ভাড়াটিয়া চিকিৎসক দম্পতি। যা আশেপাশের লোকজনও জানতেন। এদিকে, মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু।