কক্সবাজারে টেকনাফ কেন্দ্রিক অপরহণ ও মুক্তিপণ আদায়কারি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
সোমবার রাতে পৃথক সময় র্যাব এই অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুহিত কামাল (৩৪), দক্ষিণ লম্বরীর হাফেজুল রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮), রামু উপজেলার দারিয়াদীঘি এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. আব্বাস মিয়া জাহাঙ্গীর (৪০), একই উপজেলার থৈয়ংগা কাটার আবদুল আলমের ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮), উখিয়ার ৩ নম্বর ক্যাম্পের আবদুস সালামের ছেলে তাহের হোসেন (২৫) ও নতুন পল্লান পাড়ার কাদির হোসেনের ছেলে হাবিবুল্লাহ লালু (৩০)।
এই চক্রের অন্যতম হোতা মুহিত কামাল ও সাইফুল ইসলাম সহ গ্রেপ্তার অন্যান্যদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৫ টি, উখিয়া থানায় ১টি এবং ঈদগাঁও থানায় ১টি সহ মোট ৭টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় র্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
যেখানে বলা হয়েছে, টেকনাফের এই অপহরণ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ দেয়ার কথা বলে টেকনাফে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে। এরপর মিয়ানমারের বিভিন্ন নাম্বারে রেজিস্ট্রেশনকৃত ইমু নাম্বার থেকে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে থাকে। গত ২৩ জুলাই র্যাব-১৫ এর কাছে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ২০ জুলাই তৌহিদ নামে এক স্থানীয় যুবক ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালি গ্রামের হামিদ হোসেন এবং নিজামুদ্দিনকে রাজমিস্ত্রির কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মিয়ানমারের সিমে রেজিস্ট্রেশনকৃত ইমু নাম্বার থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে মোট তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এই ঘটনায় ২৩ জুলাই একটি অপহরণ মামলা হয় এবং পুলিশ তৌহিদকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তৌহিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল অভিযান শুরু করেন।
এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত ১১ টায় র্যাব-১৫ এর একটি দল তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় অপহরণ চক্রের চকরিয়া-রামু-ঈদগাঁও এলাকার এজেন্ট সাইদুল আমিন এবং আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। এর দেয়া তথ্য মতে টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের মূলহোতা মুহিত কামাল ও সাইফুল ইসলাম সহ অপর দুই জনকে। এদের কাছ তেকে ৩টি স্মার্ট ফোন, ৩ টি বাটন মোবাইল ফোন, ১৩টি সীম কার্ড এবং নগদ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতদের ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।