উখিয়ায় ভারী বর্ষনে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী 

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ২১:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

  উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত দুর্যোগ কবলিত স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সহযোগীতায় প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে নামছেন  সেনাবাহিনী।

চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে  ও প্রবল ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হচ্ছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামগুলো পানি বন্দিতে দিনযাপন করছেন। কোটবাজার, পশ্চিম রত্না ও  রুমখাপালং এলাকায় দিয়ে বয়ে যাওয়া রেজুখালে পানির ঢলের কারনে যোগ কোন সময়  কোটবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

হলদিয়া পালং  ইউনিয়নে রুমখাপালং ও জালিয়া পালং ইউনিয়নের অন্তত ১০ টি গ্রামের মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এসব এলাকায়।  উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা দিয়ে বিপদজনক সংকেতও দেওয়া হয়ছে। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) সালেহ আহমেদ জানান, অতি ভারী বর্ষনে বন্যা কবলিত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় স্থানে চলে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও  জরুরী মেডিকেল সার্ভিসের কয়েকটা ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।

জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা শাহাব উদ্দিন জানান, নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে, তবে এখনো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এরকম আরো ১/২ একদিন ভারী বর্ষণ হলে অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যুর হয়। ঘটনার পরে ক্যাম্পের অধিকাংশ পাহাড় ধ্বস প্রবন এলাকায় সেনাবাহিনীসহ অন্যন্য দায়িত্বশীলরা তাদের সতর্কতার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। সেখানে আবার অনেক শিবিরগুলো নিম্নাঞ্চল হওয়ায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে তাদের সহযোগীতার জন্য সেনাবাহিনীর টিম পুরোদমে কাজ করছে।


৯নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা বুজুরুছ মিয়া প্রতিবেদককে জানান, আমাদের ঘর গুলো কিছু নিচে কিছু উপরে। বেশি বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানিতে মাটি নরম হয়ে মাটি ঘরে চাপা পড়ে। রাতে আমাদের অনেক ভয়ে মধ্যে কাটাতে হয়। আবার কিছু কিছু  নিচু এলাকা রয়েছে, সেখানে পানি উঠে ঘরে রান্না বান্না করা যায় না। এনজিও থেকে কিছু সাহায্য  পেলে সেগুলা খেয়ে বেচে থাকতে হয়। এই হলো আমাদের জীবন।

সেনাবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে, বন্যায় কবলিত রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের যেখনো সহায়তার জন্য একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।