বিরামহীন বর্ষণ ও পাহাড়ি উজান ঢলে বিপর্যস্ত পেকুয়াবাসী

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পেকুয়ার মানুষের জনজীবন। পানিবন্দি হয়ে অসহায় অবস্থায় সময় পার করছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় বাড়ির রান্নাঘর ও চুলা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায় সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা, বিলহাসুরা, মইয়াদিয়া, সিরাদিয়া, মগকাটা,মেহেরনামা, বলির পাড়া, সৈকত পাড়া,হরিণাফাঁড়ি,মিয়াপাড়াসহ প্রায় আট গ্রামের বেশির বাড়ির চালা পর্যন্ত ডুবে আছে পানির নিচে। চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে নৌকা। 

গৃহপালিত পশু-পাখিগুলোকে রাখা হয়েছে উঁচু কোন স্থান  ও আশ্রয়কেন্দ্রে। এছাড়া পেকুয়ার প্রধান যাতায়াত মাধ্যম বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাটি সংযোগ সড়কটির উপর দিয়ে কোমর সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। বনৌজা শেখ হাসিনা সড়কের উপর চলালচলের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে নৌকা।কুতুবদিয়া থেকে চট্রগ্রামের যওয়ার উদ্দেশ্য  যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।  মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রবেশ করেছে পানি। এতে এসব প্রতিষ্ঠান অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার শিলখালী, রাজাখালী, বারবাকিয়া ও টইটং ইউনিয়নেরও প্রায় জনপদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিবন্দি মানুষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। উপজেলার প্রায় টিউবওয়েল পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, বর্তমানে পেকুয়ার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। পানির নিচে তলিয়ে গেছে পেকুয়ার ৮০ শতাংশ জনপদ। খাবার সংকটে ভোগছে বন্যা কবলিত প্রতিটি পরিবার। আমাদের পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব তাঁদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আর পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।