ফেনীর সোনাগাজীতে চেক প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৯ মাসের সাজা ও ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার অর্থদন্ড পেয়েছিলেন মো. আবুল কাশেম ওরফে আবুল হাশেম (৬০)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে তিনি নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে সাড়ে পাঁচ বছর ঢাকায় পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কাজীরহাট এলাকা থেকে তাকে র্যাব-৭ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আবুল কাশেম ওরফে আবুল হাশেম উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের চেক প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে মামলা হয়। মামলার পর তিনি আদালতে হাজির না হয়ে গ্রেফতার এড়াতে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আবুল কাশেমকে ৯ মাসের কারাদন্ড ও ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই রিমন চক্রবর্তী বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা পাওয়ার পর আবুল কাশেমের খোঁজে মাঠে নামে র্যাব ও পুলিশ। কিন্তু তিনি আত্মগোপনে থাকায় তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। গত কয়েকদিন আগে তাঁকে ধরতে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাঁর গ্রামের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন কাশেম টাকা পরিশোধের ভয়ে ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন।
সেই নম্বরের সূত্র ধরে মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাজীরহাট এলাকায় র্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাশেমকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।