পানি নিষ্কাশন রাস্তা বন্ধ: ২৫ একর আমন ধান পানিতে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টিতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার উত্তর রেখিরপাড়া এলাকায় পানি নিষ্কাশন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ২৫ একর আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। এতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা।
মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের উত্তর রেখিরপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পানি নেমে যাওয়ার রাস্তায় মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। এঘটনায় বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,' উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের উত্তর রেখিরপাড়া এলাকায় সাবেক শিক্ষক সামিউল ইসলাম ও তাঁর ভাইদের প্রায় ১৫ একর সহ ওই এলাকার প্রায় ২৫ একর রোপা আমন ধান টানা বৃষ্টিতে জমি ডুবে গেছে। গতকাল সোমবার দেখিরপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মতি মিয়া ও তাঁর দুই ভাই পানি নেমে যাওয়ার রাস্তায় মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়ায় রোপা আমনের ধান খেতে ডুবে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়,'টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। ধান খেতে জাল দিয়ে মাছ ধরছে লোকজন। পানি নেমে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকায় পানি নেমে যেতে পারছে না।
ফুলকোচা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সোলাইমান আলী বলেন,'আমার পাঁচ ভাই মিলে ১৫ একর জমি এখানে। সবগুলো জমিতেই রোপা আমন ধান লাগানো হয়েছে। গত পরশু দিন থেকে বৃষ্টি হলে পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
পরে পানি নেমে যাওয়ার রাস্তায় কালভার্টের সামনে মতি মেম্বাররা বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রেখেছে। তাঁরা মাঝে মধ্যেই এরকম ভাবে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দেয়। এই বিষয়টি চেয়ারম্যান কে জানিয়ে ছিলাম তিনিও কিছু করেন নাই। আজকে আমরা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই ফসল যদি আর একদিন তলিয়ে থাকে তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বড় ধরনের একটা ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা এর একটি স্থায়ী বিহিত চাই।
কৃষক ফারুক হোসেন বলেন,'মতি, জয়নাল, বাবুল ও আমিনুল এরা মিলে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দিয়েছে। এরা আমাদের ক্ষতি করার জন্যই কালভার্টের সামনে বাঁধ দেয়। আমরা এর স্থায়ী একটা সমাধান চাই।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মতি মিয়া বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আগে থেকেই পানি নেমে যাওয়ার ওই জায়গাটি বন্ধ ছিল। আমরা জানতাম না যে জায়গাটি বন্ধ। আমাকে যখন ইউএনও সাহেব ফোন দেয় তখন আমি বুঝতে পারি যে বন্ধ। এখন খুলে দেয়া হচ্ছে পানি নেমে যাচ্ছে।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন,'আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল আমরা পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পানি নেমে যাচ্ছে এখন। কি জন্য বাঁধ দিয়েছিল সেটা তাদের আভ্যন্তরিক বিষয় আমাদের যে দায়িত্ব ছিল আমরা সেটা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সেলিম মিঞা বলেন,'অভিযোগ দিয়েছিল অভিযোগের পরে পানি নেমে যাওয়ার বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি এখন নেমে যাচ্ছে।