কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে বশির আহমদ (৪২) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) মধ্যরাতে মধ্যম কলাতলী এলাকার বন্ধ থাকা সীমুজি হ্যাচারির পরিত্যক্ত ভবন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বশির আহমদ কুমিল্লা বড়ুরা থানার বাসিন্দা আবু তাহের ছেলে। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন কক্সবাজার শহরের মধ্যম কলাতলিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমূল হুদা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সোরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহত বশিরের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা ময়না তদন্তের পর বলা যাবে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির একটি টিম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।নাজমুল হুদা জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছে পরিত্যক্ত হ্যাচারিতে সাধারণ মানুষের তেমন আনাগোনা ছিল না। জায়গাটি নির্জন থাকায় মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা ছিল। সেখানে প্রতিরাতে মাদকের আসর বসতো। ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তবে নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগমের দাবি বলেন, বশির একজন জেলে। মাদক বা অবৈধ ব্যবসার সাথে কখনো জড়িত ছিলেন না। ঘটনার আগে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বের হন তিনি। পরে মধ্যরাতে এলাকাবাসির মাধ্যমে তার স্বামী নিহত হওয়ার খবর পান স্ত্রী। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তিনি