পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনা নদীর তীরবতী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২/১ দিনের মধ্যে যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে শাহজাদপুর, চৌহালী ও কাজিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘ্টা পানিতে ডুবে গেছে। অনেক নিচু বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং ডুবে গেছে পাটসহ বিভিন্ন ফসল। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা বাড়ছে। বন্যা কবলিত অনেক পরিবার এখন মানববেতর জীবন করছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা এখনও পায়নি উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে এবং শাহজাদপুর ও চৌহালীর ভাঙ্গন থামছেনা। অবশ্য ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকার ৭৪০ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, শিশুদের জন্য ২ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। এ তালিকা পাওয়া গেলে এ বরাদ্দকৃত চাল ও অর্থ বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
