ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে বাংলা সাহিত্য বিশ্বদরবারে মর্যাদায় আসীন হয়েছে : রবি ভিসি

রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে বাংলা সাহিত্য বিশ্বদরবারে মর্যাদায় আসীন হয়েছে : রবি ভিসি

স্বপ্নডাঙ্গা পাঠশালা কর্তৃক আয়োজিত রাজবাড়ী শিল্পকলা একাডেমিতে রবীন্দ্র স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটি একটি অভাবনীয় ব্যাপার যে, বাংলাদেশের কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত একটি প্রান্তিক জেলায় এতো সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চা হচ্ছে। এটা সম্ভব হয় একদল পাগল সাংস্কৃতিক কর্মীর জন্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেয়া ও বিস্তার ঘটানোর জন্য রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছেন এবং আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি এই শোকের মাসে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্যকর্ম দিয়ে, একটি প্রাদেশিক ভাষার কবি হয়েও অর্জন করেছেন বিশ্ববাসীর সম্মান। ভূষিত হয়েছেন নোবেল পুরস্কারে। ছোট্ট একটি জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন তিনি। বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথের মতো এতো বহুমুখী প্রতিভার সন্ধান আর মেলেনা। সাহিত্যের প্রায় সমস্ত শাখায় তাঁর সফল বিচরণ বিস্মিত করে। রবীন্দ্রনাথের জীবনকে বিশ্লেষণ করলে দেখব তিনি সৃজনের আনন্দে অবগাহন করেছেন সবসময়। নব নব সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি মানবিক বোধকে জাগ্রত করেছেন। মানুষের মধ্যে যে বিভেদ আছে সেই বিভেদকে ভেঙে ফেলার মন্ত্রোচ্চারণ করেছেন গানে-গল্পে-কবিতায়-নাটকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে গত বছরের রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংকটের রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে প্রেরণা নিতেন'। উপাচার্য বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথের অবদান বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মনে করেছিল যে একটি চেতনাকে যদি ধ্বংস করলে বাঙালিকে দমিয়ে রাখা যাবে।

এটি হচ্ছে রবীন্দ্র সাহিত্য এবং রবীন্দ্র দর্শন। এতে রবীন্দ্র সংগীত ও তার কর্মকাণ্ড তা জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান সরকার। তখন জাতির পিতা জেলে বন্দী ছিলেন। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বললেন আমরা রবীন্দ্র সংগীত গাইবো। রবীন্দ্র সংগীত তিনি গাইলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করার পরে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের একটি গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করলেন। রবীন্দ্রনাথকে শুধু সাহিত্যিক কিংবা সংগীতজ্ঞ হিসেবে নয় একজন সমাজকর্মী হিসেবেও পেয়েছি। এ অনুষ্ঠানে রাজবাড়ীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, স্বপ্ন ডাঙ্গা সংগঠনের কর্মীগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

শিল্পকলা,আয়োজন,ভূষিত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত