চাঁদপুরে অবৈধ বাস সার্ভিস বন্ধের দাবিতে ও প্রতিবাদে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পদ্মা পরিবহনের চালক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা। চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে একমাত্র পরিবহণ পদ্মা বাসের হঠাৎ কর্মবিরতির কারণে অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে এসে দুর্ভোগ পৌহাচ্ছেন। এতে এ রুটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হচ্ছে।
বাস না পেয়ে অনেকে বিকল্প হিসেবে লঞ্চ ও অন্য পরিবহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) চাঁদপুর বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী পদ্মা পরিবহণের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে আল আরাফাহ পরিবহণসহ সব অবৈধ বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন পদ্মা বাসের চালক ও শ্রমিকরা। তবে দুপুরে বক্তব্য নেওয়ার জন্য কোনো যাত্রীকে বাসস্ট্যান্ডে পাওয়া যায়নি।
আবদুল আজিজ ঢালী নামে পদ্মা পরিবহণের এক বাসের চালক জানান, সড়কে অবৈধ যানবাহনের কারণে আমরা বাস চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ফিটনেসবিহীন অবৈধ বাস চলাচলের কারণে সড়কের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। আর ওই সব বাস চলাচলের কারণে তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। ঢাকা-চাঁদপুর রুটে এসব অবৈধ বাস চলাচল বন্ধ না করলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া সিদ্বান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে আল-আরাফাহ নামে পরিবহণ কোনো বৈধতা না থাকলেও এই রুটে এসে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া ল²ীপুর ও রামগঞ্জের বাসগুলো এসে এই জেলার যাত্রী পরিবহণ করছে। যে কারণে পদ্মা পরিবহণ ভালো সার্ভিস দিয়েও যাত্রী সংকটে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছে। বতর্মানে পদ্মা পরিবহণের চালক-শ্রমিক কর্ম হারানোর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ মুহসিন আলম জানান, পদ্মা পরিবহণ বন্ধের বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে আমি জানতে পেরেছি বন্ধ আছে।
চাঁদপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শোয়েব রহমান জানান, অনিয়ম করে বাস চলাচল একটি সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। চালক-শ্রমিকদের কষ্ট নিরসনে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনেকরি।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা জানান, পদ্মা পরিবহণ বন্ধের বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলতে পারেন,তা বাকি ব্যবস্থা নিবে।
বিআরটিএর চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলার অনেক চেস্টা করা হয় সে মোবাইল রিসিভ করেনি।
