রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের  কংগ্রেস সদস্যসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ২১:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস ও রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিকের নেতৃত্বে ১১  সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাডে এগারোটার দিকে ওই প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায়। তারা প্রায় ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন।

সকাল ১০টায় তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ার বালুখালীস্থ ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় শেষে রোহিঙ্গাদের ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম তদারকি করেন এবং ডাটা কার্ডের বিভিন্ন সুবিধা নিতে আসা রোহিঙ্গাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। 

পরে ১১ নম্বর রোহিঙ্গা  ক্যাম্পের সি/১ ব্লকে অবস্থিত ইউএস অর্থায়নে পরিচালিত সান লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। সেখানে মায়ানমার ক্যারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি তদারকি করেন। এরপর ডাব্লিউএফপির ই-ভাউচার আউটলেট পরিদর্শন করেন এবং রোহিঙ্গারা ডাটা কার্ডের মাধ্যমে কিভাবে রেশন গ্রহণ করে তা পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন স্টোর পরিদর্শন করেন।

পরে কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ইউএনএইচসিআর-এর উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর আইন সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং রোহিঙ্গাদের যে সকল আইনগত সেবা প্রদান করা হয় তা তদারকি করেন। পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় প্রতিনিধিদলের হাতে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবায়ের।

মোহাম্মদ জোবায়ের জানান, চিঠিটিতে শরণার্থী জীবন কষ্টকর এবং অসহনীয় উল্লেখ করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন, '১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উখিয়ায় অবস্থিত বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা ক্যাম্পে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করেছেন। এরপর কক্সবাজার শহরে ফেরার সময় প্রতিনিধিদলের হাতে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয়।