কক্সবাজারের চকরিয়ায় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সহ আহত হয়েছে আরও ৭ জন। এসময় পুলিশের গাড়ি সহ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়ার স্থানীয় লোকজন, পুলিশ জানিয়েছে, চকরিয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা করার পূর্ব ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু অনুমতি না থাকায় পুলিশ সেখানে জানাজা পড়তে দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে বিকাল সাড়ে ৪ টায় কয়েক হাজার লোক চকরিয়া পৌরসভার লামার চিরিংগা এলাকায় জড়ো হয়ে জানাজা শুরু করে। এসময় অজ্ঞাত মুখোশধারী অর্ধশত লোক গিয়ে গুলি বর্ষণ শুরু করে। যেখানে জানাজা পন্ড হয়ে গেলে অজ্ঞাত লোকজন গুলি বর্ষণ করতে করতে লাঠি দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। পুলিশ আসার আগেই এসব লোকজন পালিয়ে যায়। পরে জানাজায় আসা লোকজন ইটপটকেল নিক্ষেপ করে। এসে পুলিশের একটি গাড়ি ও চলাচলরত অপর একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ সহ ৭ জন আহত চিকিৎসা নিচ্ছে।
নিহত ব্যক্তি মোহাম্মদ ফোরকান (৬০), তিনি চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল ফজলের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন ডাক্তার ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম।
বিষয়টি নিয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেননি। তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়া জানাজা নিয়ে সংঘটিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে গুলি বর্ষণ পুলিশের পক্ষে করা হয়নি। এতে হতাহত কত জন তা বিস্তারিত নিয়ে জানানো হবে।##