ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্ত্রীকে নির্যাতন !

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এক নারীকে হাত-পা বেঁধে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার নিজের স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) রাতে গড়েয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা ওই নারী চোংগাখাতা গ্রামের রওশন আরার মেয়ে। আসাদুল ইসলাম (২৮) গড়েয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপুকুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

ওই নারীর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার রাতে স্বামী আসাদুল ইসলাম (২৮) স্ত্রীকে মায়ের বাড়ি থেকে টাকা আনার চাপ প্রয়োগ করে কিন্তু মেয়েটির বাবা-ভাই না থাকায় টাকা আনতে স্বীকৃতি জানালে তার হাঁত-পা বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় তার শরীর রক্তাক্ত করে ফেলে। মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থাতের ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এক সময় সঙ্গা হারিয়ে ফেললে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে দেয়।
পরে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবার খবর পেয়ে রাতেই মোকছেদা বেগমকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেশ হাসপাতালে ভর্তি করে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 
মোকছেদার মা রওশন আরা বলেন, ২০১৪ সালে মেয়েকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে তারা নির্যাতন চালিয়ে আসছে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা দেই। তারপরেও তারা টাকা জন্য মেয়েকে নির্যাতন করে।

আসাদুল জানায়, আমার স্ত্রী বাসায় দরজা ধাক্কাধাক্কী করলে রাগান্নিত হয়ে কয়েকটা মাইর (আঘাত) দেই। পরে তার মা এসে মেয়ে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন আছে এবং তার মাথা ফেটে গেছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন এ ধরনের অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।