নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে করা মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে এসে খুনের শিকার হন মিজানুর রহমান।
এ খুনের ঘটনায় ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: হেমায়েত উদ্দিন এ রায়ের আদেশ দেন।
মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলো ফয়েজ আহমদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী সেবুল মিয়া, সাজিদ মিয়া, শাহান, ইসরাইল আলী মারজান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রাজজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খায়রুল কবির রুমেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাই গ্রামের মিজানুর রহমান খোকন মিয়ার সঙ্গে তাকে খুনের ঘটনায় জড়িত ফয়েজ মিয়া ও তার সহযোগী আসামী চারজনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।
এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। ২০২২ সালের ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নেই এমন মামলায় বিচারপ্রার্থী খোকন মিয়া আদালতে হাজিরা দিতে আসলে ঐ দিন দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আইনজীবী সমিতির সামনে মিজানুর রহমান খোকন মিয়াকে একা পেয়ে প্রকাশ্যে আসামী ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অপর একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়।
আটক তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে নিহতের বাবা ফটিক মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিচারকার্য শেষে বুধবার আসামী ফয়েজকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন।
রায় প্রদানের সময় আসামী ফয়েজ মিয়া ও সেবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আরো ৩ আসামী পলাতক।